সেরা উপহারঃ ছোট ভাবির নকশিকাঁথা।

আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের আমি ছোট বৌ, বড় দের স্নেহ ভালোবাসা, শাসন বারনে বেশ ভালোই কাটছিলো জীবন।
একবার আমাদের পরিবারের সবাই খুবই খুশি, এক্কেবারে আনন্দের জোয়ার যাকে বলে। কেন এই জোয়ার জানেন, কারন এই পরিবারের সকলের ছোট মেয়েটি, মানে আমার ছোট ননদ সন্তানসম্ভবা।
কেন এতো খুশি? একেতো ও সবার ছোট বোন তার ওপর দীঘ দশ বছর পর সন্তানসম্ভবা। তো পরিবারে সবাই নানাভাবে এই সংবাদ টা উৎযাপন করছে, তো আমি ভাবলাম ওর ছোট ভাবি হিসেবে আমারও তো কিছু দায়িত্ব আছে। কিন্তু কি করি কি করি? 🤔, হটাৎ মনে পড়লো বিয়ের আগে আমার করা নকশিকাঁথার প্রশংসা করেছেন প্রায় সবাই, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এই পারিবারিক আনন্দে সামিল হতে আমি কিছু বেবি নকশিকাঁথা বানাবো। বিষয় টা স্মরনীয় করে রাখতে আমি পঞ্চাশ টা নকশিকাঁথা সেলাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছি, এক্কেবারে হাফ সেঞ্চুরি🤩। অবশ্য আমাদের ঐ সোনামণি পৃথিবীর আলো দেখার আগে আমি মাত্র চুয়াল্লি টা কাঁথা সেলাই করতে পেরেছিলাম। আর তাতেই বাজিমাৎ। এর চুয়াল্লিশ টা বেবি নকশিকাঁথা উপহার পেয়ে আমার ননদাই, ননদ সেকি খুশি। সেবার ওদের মুখে ছোট ভাবির নকশিকাঁথার প্রশংসা শুনে নিজের পরিশ্রমকে স্বার্থক মনে হয়েছে 😍।

Story from: NP Alam .
Kantha Picture : Nazir Parvez.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *