কালের বিবর্তন ও নকশিকাঁথায় রঙিন সুতার প্রভাবঃ

নকশিকাঁথায় রঙিন সুতার প্রভাব বেশি ভালোই, কেননা এই রঙিন সুতার দিয়েই ফুটিয়ে তোলা হয় নকশিকাঁথার নানান সব নকশা।
ঠিক কবে থেকে নকশিকাঁথা সেলাইয়ের প্রচলন শুরু তা নিদিষ্ট করে বলা না গেলেও ধারণা করা হয় যবে থেকে আমাদের এই বাংলার মানুষেরা কাপা, কাপি (এক প্রকার বিশেষ কাপড়) পড়তে শুরু করে তার পরে থেকে এই ব্যবহৃত পুরোনো কাপা, কাপি দিয়ে পরবর্তীতে শীত নিবারণের জন্য কাঁথা সেলাই করতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় কাঁথাতে নকশা ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে তৈরি হতে থাকে নকশিকাঁথা।
এই কাঁথা ও নকশিকাঁথার অন্যতম প্রধান উপাদান হলো সুতার। কাঁথা তৈরির জন্য টুকরো টুকরো কাপড় গুলোকে একটির সাথে অন্যটিকে জুড়ে দেওয়ার কাজটি করা হয় এই সুতা দিয়ে। এবং নকশিকাঁথার নকশা ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার করা হয় নানান রঙের সুতার। তাই বরাবর ই নকশিকাঁথায় রঙিন সুতার প্রভাব ছিলো চোখে পড়ার মতো।

শুরুর দিকের নকশিকাঁথা গুলো তে অবশ্য এতো বেশি রঙের সুতার প্রভাব ছিলো না। কারণ তখন মূলত পুরনো কাপড় এর পাড় থেকে তোলা সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হতো। তাই ঐ কাপড়ে পাড়ে যে কয় প্রকারের বা রঙের সুতার পাওয়া যেতো তাই দিয়েই মেয়েরা নকশার কাজ চালিয়ে নিতো।
কালের পরিক্রমায় তুলা, তাঁতশিল্প, বয়নশিল্পের উন্নয়ন ও এর উপর রঙের প্রভাব এর সাথে সাথে পরিবর্তন আসতে শুরু করে নকশিকাঁথাতেও।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *